অনেকেই আছেন যারা চান তাদের সাইট এ বসে কাঠের দরজা তৈরী করাবেন, এ জন্য আমরা আপনাদের জন্য একটা স্মার্ট সল্যুশন নিয়ে এসেছি, আমার লোক আপনার সাইট এ বসে কাজ করে আপনার মনের মতো করে কাঠের দরজা তৈরী করে দিবে আপনার জন্য। আপনার মনের সন্তুষ্টি এবং আপনার পছন্দের গুরুত্ব দিতে আপনার সাইট এ বসে আমরা আপনাদের জন্য কাঠের দরজা ও চৌকাঠ তৈরী করে এবং ফিটিং, বার্নিশ সব কিছু আপনাদের সাইট এ বসে আমরাই করে দিচ্ছি। আমাদের এক্সপার্ট টেকনিশিয়ান বা মিস্ত্রি রা আপনার সাইট এ থেকে আপনার মনের মতো করে কাঠের দরজা, চৌকাঠ তৈরী করে ফিটিং করে দিবে এবং বার্নিশ বা লিকার করে দিবে।
কাঠের দরজা এর ক্ষেত্রে কন্টাক্ট এর ধরণ :
- কাঠ আপনার, আমরা কাঠের দরজা ও চৌকাঠ তৈরী করে ফিটিং করে দিবো
- কাঠ আমরা সাপ্লাই দিবো আর আপনাদের সাইট এ বসে কাঠের দরজা ও চৌকাঠ তৈরী করে ফিটিং করে দিবো
- সলিড কাঠের দরজা তে আমরা সিনসি ডিজাইন করে এনে দিবো
- কাঠের দরজা ফিটিং এবং ফিক্সিং
- কাঠের দরোজা এর ফিনিশিং এবং বার্নিশ করে দিবো

1. আর আপনার অন্য মানুষের উপরে ভরসা করতে হবে না, এখন থেকে আপনার ক্রয় করা কাঠের থেকে আপনার কাঠের দরজা তৈরী হবে আপনার সাইট এ বসে
অধিকাংশ মানুষ কাঠের দরজা কিনতে গিয়ে দোকা খেয়ে থাকে, চেয়ে থাকে এক জিনিস কিন্তু পেয়ে থাকে আরেক জিনিস কারণ কিছু অসাধু ব্যাবসায়ীরা তাদের থেকে অর্ডার নিয়ে নেয় একরকম আর জিনিস দিয়ে থাকে অন্য রকম, কাঠের কোয়ালিটি ভালো থাকে না, কাঠ সারি থাকে না, সে জন্য আমরা আপনাদের জন্য এই নির্ভর যোগ্য সমাধান নিয়ে এসেছি, আপনি আপনার পছন্দ অনুযায়ী কাঠ কিনে আমাদের এক্সপার্ট টেকনিসিয়ান দিয়ে আপনার মনের মতো করে দরজা চৌকাঠ বা ফার্নিচার তৈরী করতে পারবেন।
2. আপনার কাছে যদি কাঠ ক্রয় করার সময় না থাকে কাঠের দরজা এর জন্য সেটার সমাধান ও আমরা দিয়ে থাকি
ভালো কাঠের সোর্স করা টা একটু সময় সাপেক্ষ ব্যাপার কারণ কাঠ দেখে শুনে বুঝে কিনতে হবে, অনেকেই আছেন কাঠ সম্পর্কে ধারণা নেই তাই আমরা আপনার কাঠ কিনে আপনার বাসায় পৌঁছে দিবো যদি আপনি চান। আপনার কাঠ আমাদের কাছে অর্ডার করলে আমরা আপনার কাঠ বাছাই করে কিনে আপনার বাসায় পৌঁছে দিব। আমরা সব ধরণের কাঠ সরবরাহ করে থাকি যেমন বর্মা টিক সেগুন, চিটাগাং সেগুন, চিটাগাং গামারি, মেহেগেনী, শীল করাই, লোহা কাঠ, টিক চাম্বল, চাপালিশ সহ সকল ধরণের কাঠ যা দরজা, চৌকাঠ এবং ফার্নিচার তৈরী করতে আপনার কাজে লাগবে।
3. কাঠের দরজা এর ডিজাইন আপনার পছন্দ অনুযায়ী করা হবে
সলিড পাল্লা এর ক্ষেত্রে আধুনিক সিনসি মেশিন এর মাধ্যমে ডিজাইন করে দেয়া হয় আর ডিপ পাল্লা আর ক্ষেত্রে ওই সাইট এ বসেই ডিজাইন করা হয়। সিনসি ডিজাইন এর জন্য আলাদা ডিজাইন চার্জ প্রযোজ্য।
4. কাঠের দরজা ফিটিং এবং ফিক্সিং

আমাদের এক্সপার্ট টেকনিশিয়ান ই আপনাদের দরজা ফিটিং এবং ফিক্সিং করে দিবে সুতরাং আপনার আর এগুলো নিয়ে টেনশন করতে হবে না
5. কাঠের দরজা বার্নিশ এবং ফিনিশিং

আপনার কাঠের দরজা এর বার্নিশ এবং ফিনিশিং হবে ১০০% যা আপনার বাড়ির সৌন্দর্যকে বৃদ্ধি করবে আর যদি ফিনিশিং ভালো না হয় তাহলে আপনি যত ভালো মানের কাঠ দিয়ে আপনার কাঠের দরজা তৈরী করেন না কেন সেটা দেখতে ভালো লাগবে না এবং আপনার বাড়ির সৌন্দর্যকে নষ্ট করে ফেলবে। সুতরাং আপনার এসব জিনিসের দায়িত্ব এখন থেকে আমাদের, আপনি আমাদের সাথে কন্টাক্ট করে সব কিছু আমাদের থেকে বুঝে নিবেন।
কাঠের দরজা তৈরি করার সময় কী কী বিষয় বিবেচনা করা উচিত ?
কাঠের দরজা তৈরি করা একটি নিখুঁত এবং সুনির্দিষ্ট কাজ, যা ঘর বা অফিসের নিরাপত্তা, সৌন্দর্য এবং স্থায়িত্ব নিশ্চিত করে। কাঠের দরজা তৈরির সময় কিছু বিষয় বিবেচনায় রাখা দরকার, যা দরজার মান ও দীর্ঘস্থায়ীতার ওপর প্রভাব ফেলে। নিচে কাঠের দরজা তৈরির ক্ষেত্রে কী কী বিষয়ে খেয়াল রাখা উচিত তা আলোচনা করা হলো:
১. কাঠের ধরন নির্বাচন
দরজা তৈরির জন্য ব্যবহৃত কাঠের মান এবং ধরন গুরুত্বপূর্ণ। বাজারে শেগুন, মেহগনি, সেগুন, গামারি ইত্যাদি কাঠ পাওয়া যায়। শেগুন ও মেহগনি কাঠ অধিক টেকসই এবং সুন্দর হওয়ায় দরজা তৈরিতে জনপ্রিয়। কাঠের ধরন নির্বাচন করার সময় এর টেকসইত্ব, জলের প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং কড়া আবহাওয়া সহ্য করার ক্ষমতা খেয়াল রাখতে হবে।
২. কাঠের আর্দ্রতা এবং প্রক্রিয়াকরণ
কাঠের আর্দ্রতা বেশি থাকলে দরজার আকার বিকৃতি হতে পারে। সঠিকভাবে শুকানো কাঠ দরজা তৈরির জন্য উপযুক্ত। এজন্য কাঠের আর্দ্রতা পরিমাপ করা এবং উচ্চ তাপমাত্রায় শুকানো কাঠ নির্বাচন করা উচিত। এতে দরজা অনেক বছর পর্যন্ত ভালো থাকে।
৩. দরজার ডিজাইন এবং মাপ
কাঠের দরজার ডিজাইন ঘরের স্টাইল ও দরকারের ওপর নির্ভর করে। সঠিক মাপ ও ডিজাইন অনুযায়ী দরজা তৈরি করা দরকার। দরজার জন্য টেকসই ডিজাইন এবং সঠিক মাপ নির্বাচন করতে পারলে তা ঘরের সাথে সামঞ্জস্য বজায় রাখে এবং সৌন্দর্য বাড়ায়।
৪. কাঠের জয়েন্ট এবং সংযোগ
দরজা তৈরির সময় কাঠের বিভিন্ন অংশের সংযোগ পদ্ধতি, যেমন টেনন-মর্টিস, ডোয়েল বা ডোভটেল জয়েন্টের মতো উচ্চমানের কাঠের জয়েন্ট ব্যবহার করা উচিত। এ ধরনের জয়েন্ট দরজাকে আরো শক্তিশালী এবং স্থিতিশীল করে তোলে।
৫. ফিনিশিং এবং পলিশিং
দরজার ফিনিশিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি দরজাকে আকর্ষণীয় এবং দীর্ঘস্থায়ী করে তোলে। দরজার জন্য ভালো মানের পলিশ এবং ল্যাকার ব্যবহার দরকার, যা কাঠকে সুরক্ষা দেয় এবং তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলে। পলিশিং করলে দরজায় চকচকে লুক আসে এবং এটি অনেক দিন পর্যন্ত নতুন থাকে।
FAQs:
কাঠের দরজা তৈরির ক্ষেত্রে এই বিষয়গুলো খেয়াল রেখে চললে এটি স্থায়িত্ব ও সৌন্দর্যের দিক থেকে আরও উন্নত মানের হবে।
প্রশ্ন ১: কাঠের দরজা তৈরিতে কোন ধরণের কাঠ ভালো?
- উত্তর: দরজা তৈরিতে শেগুন, মেহগনি, গামারি এবং সেগুন কাঠ বেশি ব্যবহৃত হয়। শেগুন কাঠের টেকসইত্ব এবং জলের প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি, যা দীর্ঘস্থায়ী দরজা তৈরিতে সহায়ক।
প্রশ্ন ২: দরজা তৈরির জন্য কাঠের আর্দ্রতা কেমন হওয়া উচিত?
- উত্তর: কাঠের আর্দ্রতা কম থাকা দরকার, যাতে সেটি সময়ের সাথে সাথে বিকৃত না হয়। সাধারণত, কাঠ ১২-১৫% আর্দ্রতায় শুকানো উচিত, যা কাঠের স্থায়িত্ব বৃদ্ধি করে।
প্রশ্ন ৩: কাঠের দরজার জন্য কী ধরনের ডিজাইন ভালো?
- উত্তর: দরজার ডিজাইন নির্ভর করে ঘরের স্টাইল এবং দরকার অনুযায়ী। মূল দরজা, বেডরুম বা বাথরুমের জন্য ভিন্ন ডিজাইন থাকে। সাধারণত সিম্পল, ক্লাসিক এবং মডার্ন ডিজাইন জনপ্রিয়।
প্রশ্ন ৪: দরজা তৈরির সময় কাঠের সংযোগ বা জয়েন্ট কীভাবে করা হয়?
- উত্তর: কাঠের দরজা তৈরিতে শক্তিশালী সংযোগের জন্য মর্টিস এবং টেনন জয়েন্ট, ডোয়েল, অথবা ডোভটেল জয়েন্ট পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। এতে দরজার অংশগুলো মজবুতভাবে যুক্ত থাকে।
প্রশ্ন ৫: দরজা তৈরি করতে কত সময় লাগে?
- উত্তর: কাঠের দরজা তৈরির সময় কাঠের আকার, ডিজাইন, এবং দরজার জটিলতার ওপর নির্ভর করে। সাধারণত, একটি দরজা সম্পূর্ণ প্রস্তুত করতে ৭ থেকে ১৫ দিন সময় লাগতে পারে।
প্রশ্ন ৬: কাঠের দরজা কত বছর টেকে?
- উত্তর: ভালো মানের কাঠ এবং সঠিক ফিনিশিং ব্যবহার করা হলে কাঠের দরজা 30-5০ বছর বা তার বেশি সময় ধরে টিকে থাকতে পারে।
প্রশ্ন ৭: দরজার ফিনিশিংয়ের জন্য কী ধরনের পলিশ ব্যবহার করা উচিত?
- উত্তর: দরজার জন্য উচ্চমানের পলিশ, যেমন ল্যাকার বা ভরনিশ, ব্যবহার করা উচিত। এটি দরজার সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে এবং কাঠকে সুরক্ষিত রাখে।
প্রশ্ন ৮: কাঠের দরজা তৈরির পর রক্ষণাবেক্ষণ কিভাবে করতে হয়?
- উত্তর: কাঠের দরজা নিয়মিত পরিষ্কার রাখা এবং মাঝে মাঝে পালিশ করা দরকার। দরজার কাঠের উপর পানি জমতে না দেওয়া এবং নিয়মিত ময়লা পরিষ্কার করাও দরজার স্থায়িত্ব বাড়ায়।
প্রশ্ন ৯: কাঠের দরজা কি বাইরে ব্যবহার করা যায়?
- উত্তর: হ্যাঁ, কাঠের দরজা বাইরে ব্যবহার করা যায়। তবে এটি আবহাওয়া সহনশীল কাঠ (যেমন শেগুন বা মেহগনি) এবং বিশেষ জলরোধী ফিনিশিং থাকলে দীর্ঘস্থায়ী হয়।
এই প্রশ্নোত্তরগুলো কাঠের দরজা তৈরির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিক নিয়ে আপনাকে সাহায্য করবে।
কাঠের দরজা তৈরির ক্ষেত্রে ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিক:
ইতিবাচক দিক
- দীর্ঘস্থায়ী: কাঠের দরজা অনেক বছর ধরে টিকে থাকে এবং এটি মেরামত বা প্রতিস্থাপনের জন্য খুব কমই প্রয়োজন হয়।
- সৌন্দর্য ও প্রাকৃতিক চেহারা: কাঠের দরজার প্রাকৃতিক দানাদার টেক্সচার এবং উষ্ণ সৌন্দর্য ঘরের নান্দনিকতা বাড়ায়।
- কাস্টমাইজড ডিজাইন: কাঠের দরজাকে বিভিন্ন ডিজাইন, মাপ এবং স্টাইলে কাস্টমাইজ করা যায়, যা আপনার পছন্দ ও ঘরের জন্য উপযুক্ত।
- উচ্চ মানের নিরোধক: কাঠের দরজা তাপ এবং শব্দ নিরোধকের জন্য উপযুক্ত, যা ঘরের অভ্যন্তরীণ পরিবেশকে আরামদায়ক রাখে।
- পুনর্ব্যবহারযোগ্য ও পরিবেশবান্ধব: কাঠ একটি প্রাকৃতিক এবং পুনর্ব্যবহারযোগ্য উপাদান, যা পরিবেশবান্ধব এবং টেকসই।
নেতিবাচক দিক
- দ্রব্যমূল্য বেশি: ভালো মানের কাঠের দরজা সাধারণত প্লাস্টিক বা মেটালের তুলনায় অনেক বেশি ব্যয়বহুল।
- রক্ষণাবেক্ষণ প্রয়োজন: কাঠের দরজাকে দীর্ঘস্থায়ী রাখতে নিয়মিত পালিশ এবং রক্ষণাবেক্ষণ দরকার।
- আবহাওয়া-প্রভাবিত: কাঠের দরজা আর্দ্রতা, পানি এবং তাপমাত্রার পরিবর্তনে বিকৃত হতে পারে, যা দরজার স্থায়িত্বে প্রভাব ফেলে।
- পোকামাকড়ের আক্রমণ: কাঠের দরজায় যদি সঠিকভাবে ট্রিটমেন্ট না করা হয়, তবে এটি উইপোকা বা অন্যান্য পোকামাকড়ের আক্রমণের শিকার হতে পারে।
- অগ্নি প্রতিরোধ ক্ষমতা কম: কাঠ একটি দাহ্য পদার্থ, তাই কাঠের দরজা অগ্নি প্রতিরোধক নয়, যা সুরক্ষার ক্ষেত্রে একটি বিবেচ্য বিষয়।
কাঠের দরজার এই ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিকগুলো জেনে আপনি সিদ্ধান্ত নিতে পারেন যে এটি আপনার প্রয়োজন এবং বাজেটের জন্য কতটা উপযুক্ত।